-লালমাইয়ে উগ্রপন্থী সংগঠন হেজবুত তাওহীদের কার্যক্রম বন্ধ সহ তাদের পৃষ্ঠপোষকদের বয়কটের দাবীতে একজোট হয়েছে লালমাই উপজেলার সচেতন আলেম সমাজ!
১১ই সেপ্টেম্বর সোমবার লালমাই উপজেলার কওমী মাদ্রাসার ভিত্তিক সংগঠন মহিউস সুন্নাহ ওলামা পরিষদের নেতারা লালমাই উপজেলায় হেযবুত তওহিদের কর্মকান্ড বন্ধের দাবিতে লালমাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান শাহিনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন মুহিউস্ সুন্নাহ্ ওলামা পরিষদের সভাপতি হাফেজ মাওলানা মোস্তফা মাহমুদী।এছাড়াও লালমাই উপজেলার বিভিন্ন মাদরাসার মোহতামিমগণ ও আলেম সমাজের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্ল্যেখ্য গত ৯ই সেপ্টেম্বর উপজের বাগমারা দক্ষিণ ইউনিয়ন অডিটোরিয়ামে হেজবুত তাওহীদের আয়োজনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাগমারা দক্ষিণ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতার লোকমান হোসেন, বিশেষ অতিথি ছিলেন ১ নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি মো মাঈন উদ্দিন,ইউনিয়ন আ’লীগের সদস্য আহিদুর রহমান সহ অনেক স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
যদিও হেযবুত তওহীদ জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা এবং অপ-রাজনীতির বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছে বলে নিজেদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে বিবৃত দিয়েছে, কিন্তু বিভিন্ন সময় এই দলের কর্মসূচি প্রশ্নবিদ্ধ হয়।২০০৮ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তালিকায় কালো তালিকাভুক্ত হয় সংগঠনটি।২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সংগঠনটিকে কালো তালিকাভুক্ত করে চিঠি জারি করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকও এ বিষয়ক সতর্কতা জারি করে সংগঠন ও এর অঙ্গ সংগঠনের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বলে।২০১৯ সালের ১ নভেম্বর বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল নিশ্চিত করেন হেযবুত তওহীদসহ আরো কয়েকটি দল কালো তালিকাভুক্ত এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাদের নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব জমা হয়েছে।বিভিন্ন সময় সংগঠনটি নিষিদ্ধ করার কথাও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জানা যায়।
এই দিকে ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনের মত জায়গায় স্থানিয় রাজনৈতিক ও সরকারি দলিয় নেতাদের উপস্থিতিতে এমন একটি ইসলাম বিরুধী চরমপন্থী দলকে প্রোগ্রামের সুযোগ দেয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ সর্বমহলে সমালোচনার ঝড় বইছে।